জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত টাঙ্গাইলের রিয়াজুল রিজু দোয়া চাইলেন

0 144
dav

স্টাফ রিপোর্টার ॥
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে রিয়াজুল রিজু। টাঙ্গাইলের এই কৃতি সন্তান বিগত ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট আটটি শাখায় তার নির্মিত বাপজানের বায়োস্কোপ ছবিটি। রিয়াজুল রিজুর এই অর্জনে সারাদেশের চলচ্চিত্র প্রেমি লাখো লাখো মানুষের মত টাঙ্গাইলবাসীর মাঝেও যেন আনন্দের জোয়ার বইছে। রিজুর এই বিশাল অর্জন টাঙ্গাইল জেলাবাসীর মুখ উজ্জল করেছে বলে মনে করছেন টাঙ্গাইলের সর্বস্তরের মানুষ। গত (২৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাব রিজুর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলেদেন।
পুরস্কার গ্রহন করেই রিয়াজুল রিজু নিজের জেলা টাঙ্গাইল আসেন। শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে দেশের শ্রেষ্ট এই চলচ্চিত্র নির্মাতা টাঙ্গাইলের অভিবাবক প্রবীন রাজনীতিবীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সাথে দেখা করে দোয়া চান। এ সময় প্রবীন এই রাজনীতিক রিজুর এই অর্জন টাঙ্গাইলের জন্যে বিশাল এক সম্মান বয়ে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ফজলুর রহমান খান ফারুক আগামীতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে আরো ভাল কিছু করার পরামর্শ দেন রিজুকে।
প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ নির্মাণ করে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অর্জন করেছেন ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট আটটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হওয়ার পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ নির্মাতার পুরস্কার জিতেছেন নির্মাতা। সে সঙ্গে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুম রেজা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার যৌথভাবে মাসুম রেজা ও রিয়াজুল রিজু, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী এসআই টুটুল, শ্রেষ্ঠ গীতিকার আমিরুল ইসলাম ও শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে মেহেদী রনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে রিয়াজুল রিজু বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের স্বীকৃতি পেলেন।
গত সোমবার (২৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিয়াজুল রিজুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু সময় কথা হয় তাঁর। কি কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়াজুল রিজু স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে টিনিউজকে বলেন, ‘তুমি তো অল্প বয়সে একাই সব পুরস্কার নিয়ে গেলে! আমি তখন প্রধানমন্ত্রীকে ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করি। প্রধানমন্ত্রী ছবিটি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।’
আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তরুন এই নির্মাতা টিনিউজকে বলেন, ‘আমি যখন পুরস্কারটি নিতে স্টেজে উঠি, তখন খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। বড় কোনো পুরস্কার হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার পাওয়া মানে জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। এই পুরস্কার আমাকে আরো ভালো ছবি নির্মাণের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। আমি ভালো ছবি নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রাখব। ’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

ব্রেকিং নিউজঃ