ঘাটাইলে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা

306

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা ড্রাগনের চারা রোপনের চাষের ১ বছরের মধ্যেই ফল এসেছে বাগানে, ফলন ভালো হওয়ায় বাড়তি মুনাফার আশা করছেন তারা। চাষে কম খরচ এবং বাজার মুল্য ভালো পাওযায় এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয়রা। ২০১৯ সালের প্রথমদিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। বর্তমানে উপজেলার ৩৫০ একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে। প্রতি বছরই বাড়ছে এই ফলের চাষ। চারা রোপনের পর বছর ঘুরতেই শুরু হয় বাগানে ফুল আসা। ফুল আসার ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই কাটা যায় পাকা ফল। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই চাষকরা এই ফল খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ। বাজারে ড্রাগন ফলের দাম ভালো হওয়ায় কম খরচে বেশি লাভের আশা করছেন চাষীরা। নুতন এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে টাঙ্গাইল জেলাতে ছোট বড় আরো অন্তত প্রায় অর্ধশত টি বাগান গড়ে উঠেছে। ড্রাগন ফল এ অঞ্চলে বৃহৎ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ড্রাগন ফল বাগনে শ্রমিকের কাজ করে অনেক দরিদ্র পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা।




এ অঞ্চলে গড়ে উঠা ড্রাগন বাগান দেখতে ভীর করছেন ফল প্রেমীরা। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন ড্রাগন ফল বাগান। বাগানেই খাচ্ছেন ফল। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিজনদের জন্য। অনেকে আবার নিজেই ড্রাগন ফল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার দিলশাদ জাহান জানান, ড্রাগন ফল চাষে নিয়মিত উৎসাহ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা গেলে অন্যান্য ফল-ফসলের মতো ড্রাগনও হবে এ অঞ্চলের আরেকটি আর্থিক খাত, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।