ঘাটাইলে এমপি রানা ও লেবু গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি ॥ হামলা-ভাংচুর, আটক ৪
ঘাটাইল সংবাদদাতাঃ
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। অভিযোগপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে ঘাটাইল উপজেলায় বুধবার গভীর রাতে আওয়ামী লীগের এমপি রানা ও আহবায়ক লেবু দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের বাড়িতে পাল্টাপাল্টি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘাটাইল উপজেলা বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরে সমাবেশের ডাক দেয়। একই স্থানে দুই গ্রুপ সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছমা আরা বেগম। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত সকল প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, গভীর রাতে স্থানীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানা সমর্থিত নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু ও জিবিজি কলেজের সাবেক ভিপি শহিদুজ্জামান খান এর বিলবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে এবং ছাত্রলীগ নেতা আবিদ ও তমালের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনার আধা ঘন্টা পর শহিদুল ইসলাম লেবু সমর্থকরা ৩নং জামুরিয়া মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমপি রানা সমর্থক শহিদুল ইসলাম হেস্টিংস এর বাসায় ঢুকে টিনের রান্না ঘর ও বাসার জানালা ভাংচুর করে। বৃহস্পতিবার সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে বিকেলে র্যাব-১২ এর একটি দল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লেবু গ্রুপের ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক সহঃ ক্রীড়া সম্পাদক আবু সাঈদ রুবেল(৩০), তার ছোট ভাই সোহেল (১৮), মিতুল(২০) ও মনজু (২১)। এরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী।