কালিহাতীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আস্থার প্রতীক কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিজিটাল সংযোজন

139

সোহেল রানা, কালিহাতী ॥
স্বাধীনতার পর দেশের প্রকৃত গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা সবচেয়ে সফল একটি উদ্যোগ। কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে স্বাস্থ্য সেবা। মা ও শিশুর পাশাপাশি প্রান্তিক জনপদের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে এই ক্লিনিক। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর যে প্রত্যয় তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ডিজিটালাইজেশন অত্যন্ত প্রয়োজন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যেহেতু প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছড়িয়ে থাকা স্থাপনাগুলোতে পরিচালিত হয় তাই এগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করা অত্যন্ত কঠিন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ডিজিটালাইজেশন সংযোজনের আওতায় আনা হয়েছে।




জানা যায়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক সঠিকভাবে যাতে পরিচালিত হতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন অনুযায়ী জনগণের দ্বোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যেন রাখতে পারে সেজন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ও মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক সুপারভিশন ও মনিটরিং করা, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বেগবান করা এবং ক্লিনিকে আগত রোগীদের সেবার মান উন্নত করতে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাহেদুর রহমানের প্রচেষ্টায় এ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।




এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাহেদুর রহমান টিনিউজকে জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের একটি ফ্লাগশিপ বা পতাকাধারী প্রোগ্রাম। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা দেশে-বিদেশে নন্দিত। “শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কালিহাতী উপজেলাতেই রয়েছে ৫৪ টি এবং রয়েছে ৮ টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক সুপারভিশন ও মনিটরিং করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। এরই প্রেক্ষিতে কালিহাতী উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে।




তিনি টিনিউজকে আরও জানান, এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপে ৫৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিককে গুগল ম্যাপে সংযুক্ত করা হয়েছে। গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যে কেউ ভিজিট করতে পারবেন বা আগত রোগীরা কমিউনিটি ক্লিনিকটি কোথায় সেটি জানতে পারবেন ও সেবা নিতে পারবেন । দ্বিতীয় ধাপে একটি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করা হয়েছে যাতে রয়েছে রিয়েল টাইম লোকেশন ট্র্যাকিং। লোকেশন ট্র্যাক করার মাধ্যমে অফিসে বসেই সিএইচসিপিদের মনিটরিং করা সম্ভব হবে। অ্যাপটি শুধুমাত্র সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। এছাড়াও রয়েছে চ্যাটিংয়ের ব্যবস্থা। যেখানে কর্মরত সিএইচসিপিগন রিয়েল টাইম ছবি শেয়ার করতে পারবেন এবং আগত রোগীদের বাড়তি সেবার প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে পারবেন। স্থানীয় এমপি সোহেল হাজারী এপ্লিকেশনটি ডেভেলপ করতে যে অর্থের প্রয়োজন ছিল সেটি জোগাড় করে দিয়েছেন।