কালিহাতীতে কাবিটা-টিআর প্রকল্পের টাকা লোপাটের তদন্তে নেমেছে দু’দক
কালিহাতী সংবাদদাতা ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কাবিটা-টিআর বিশেষ বরাদ্দের পৌনে দুই কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা দীর্ঘদিন পর তদন্তে মাঠে নেমেছে দু’দক। গত (১৬ ও ১৭ আগষ্ট) দুর্নীতি দমন কমিশন (দু’দক) প্রতিদিন ৬টি করে মোট ১২টি প্রকল্প তদন্ত করার উদ্দেশ্যে বাদী জাহাঙ্গীর আলমকে সরেজমিনে উপস্থিত থাকতে পত্র প্রেরণ করে। পত্রের প্রেক্ষিতে বাদী দু’দকের তদন্ত টীমের সাথে কালিহাতী শফি সিদ্দিকী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতিগন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের বাহামভুক্ত লোকজনের উপস্থিতিতে বাদীকে মারপিটসহ হেনাস্থা করার চেষ্টা করলে বাদী কৌশলে কালিহাতী থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৬ আগষ্ট) (১) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের ঘর উন্নয়ন, (২) কালিহাতী স্কাউট ভবনের মাঠ ভরাট ও সম্প্রসারণ এবং সংস্কার, (৩) বেতডোবা মেঘাখালী নদীর পাড়ে প্যালাসাইডিং ও মাটি দ্বারা সংস্কার প্রকল্প, (৪) কালিহাতী কাঁচা বাজারে গনশৌচাগার নির্মান ও সাতুটিয়া গোরস্থানে মাটি দ্বারা গর্ত ভরাট প্রকল্প, (৫) বাঘুটিয়া পাথালিয়া পাকা রাস্তার নিকট হতে পাথালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পযর্ন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্প, (৬) ভদ্রবাড়ী পুকুর পাড় থেকে ইয়াছিন মেম্বারের বাড়ী পযর্ন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্প।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) (৭) চরদুর্গাপুর হানিফের বাড়ী হতে বেরিপটল নুর ইসলামের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মান প্রকল্প, (৮) সাভার লতিফের বাড়ী হতে ধলধি জোয়াদ্দারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মান প্রকল্প, (৯) আলীপুর ব্রীজের নীচে কার্ট অব ওয়াল নির্মান প্রকল্প, (১০) দৌলতপুর খেলার মাঠ উন্নয়ন প্রকল্প, (১১) গোয়ারিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা উন্নয়ন প্রকল্প, (১২) কালিহাতী আরএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় উন্নয়নসহ মোট ১২ প্রকল্প প্রথম দফায় তদন্ত কাজ শুরু করে।
তদন্তের প্রথমেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনার ফলে বাদী এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি তার নিরাপত্তা চেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার বরাবর গত বুধবার (১৭ আগস্ট) লিখিত আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম টিনিউজকে বলেন, এ মামলায় সংশ্লিষ্টরা সরকারী কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী রাজনীতিক ব্যাক্তি। এ কারণে আমার নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপাারে দূর্নীতি দমন কমিশনের (দু’দক) উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তফা বোরহান উদ্দিন আহম্মদ টিনিউজকে বলেন, আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত কাজ পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।