করোনায় টাঙ্গাইলে শেষ মুর্হুতে ঈদ মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়
জাহিদ হাসান ॥
নোভেল কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্য দিয়েই মুসলিম বিশ্বে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এখন শেষ হতে শুরু করেছে রমজানের সুভাষ। পবিত্র ঈদের আগমনী বার্তা কানের মাঝে গুনগুনিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষকে ঘরে থাকার আহবান করলেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে টাঙ্গাইলের শপিংমল, মার্কেট ও দোকানগুলোতে।
এদিকে দিন দিন টাঙ্গাইল জেলা করোনা ভাইরাস আক্রান্তের হটস্পটে পরিণত হচ্ছে। কিছুতেই কমছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঈদের আগে এই মুর্হুতে টাঙ্গাইলে শপিংমল, মার্কেট ও দোকান চালু থাকায় করোনা আক্রান্তের ভয়াবহতা আরও তীব্র হবে এমনটি মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। যা ঈদের পর বোঝা যাবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। টাঙ্গাইলে করোনায় শনিবার (২৩ মে) পর্যন্ত ৯৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গিয়েছে ৪ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতারা রীতিমতো জটলা পাকিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন। এই চিত্র দেখা যাচ্ছে টাঙ্গাইলের পুরাতন আদালত সড়কের অবস্থিত মার্কেটগুলো ও ক্যাপসুলসহ সকল শপিং কমপ্লেক্সে। মানুষ কেনাকাটা করার সময় মানছে না নূনতম সামাজিক নিরাপত্তা। দোকানের সামনে রশি দিয়ে আটকানো কিংবা গোল লাল চিহ্ন করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিৎ করা কোনোটিই কেউ মানচ্ছেন না। এ ব্যাপারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষের অনাগ্রহই স্পস্ট।
এ ব্যাপারে একজন বিক্রেতা জালাল উদ্দিন টিনিউজকে জানান, কিছু করার থাকে না। একজন কেনাকাটা করতে আসলে তার সাথে আরও তিন-চারজন দোকানে ঢুকে পড়ে। ব্যবসায়ের স্বার্থে তাদের কিছু বলাও যায় না। এদিকে রমজান আলী নামে একজন ক্রেতা টিনিউজকে বলেন, আমরা নিরাপত্তা মেনে চলার চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেকেই না মেনে একসাথে দোকানে ঢুকে যাচ্ছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে মার্কেট অঞ্চলে ঢোকার প্রতিটি প্রবেশমুখে জীবানু নাশক চেম্বার বসানো হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে চেম্বারগুলো অকার্যকর হয়ে থাকে। ক্রেতাদের দাবী চেম্বারের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করার জন্য। করোনা মোকাবেলায় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। তারা প্রতি মূহুর্তে টহল আর সতর্কবার্তা মানুষকে পৌছে দিচ্ছে। শহরের কয়েকটি জায়গায় বসেছে কার্যকরি চেকপোস্ট। পুলিশ আর প্রশাসনের তৎপরতায় মানুষের মধ্যে সন্তোষজনক মূল্যায়ন দেখা গিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা ঈদের শপিং করা থেকে বিরত থাকবো কিংবা করলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে করবো এমনটাই প্রত্যাশা প্রশাসনের।