এক যুগ আত্মগোপনের পর ভূঞাপুরের প্রতারক ‘ফাইটন’ গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার ॥
প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ও আরও তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর প্রায় ১২ বছর আগে আত্মগোপনে চলে যান আকবর হোসেন ফাইটন (৫০)। অবশেষে প্রায় এক যুগ আত্মগোপনে পালিয়ে থেকে শেষ রক্ষা পাননি। পুলিশের জালেই ধরা পড়লেন তিনি। রোববার (২ জুলাই) রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল আহমেদের নেতৃত্বে এক দল তাকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম টিনিউজকে বলেন, গ্রেফতারের পর সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে প্রতারক আকবর হোসেন ফাইটনকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায় ভূঞাপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ফাইটন ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা গোপাল এলাকার আশরাফ হোসেনের ছেলে। সে নিজেকে নতুন বাংলাদেশ দলের চেয়ারম্যান বলে পরিচয়সহ দাবি করেছেন।
জানা যায়, প্রতারণার একটি মামলায় সাজা ও আরও তিনটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আকবর হোসেন ফাইটন প্রায় ১২ বছর আগে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তার আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। চারটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ গত তিনমাস ধরে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে গেছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ টিনিউজকে জানান, গত তিনমাস ধরে তার অবস্থান জানার জন্য চেষ্টা করা হয়। এরপর তার নাম, ঠিকানা দিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। এরপর ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একটি মোবাইল নম্বর বের করা হয়। সে ওই পরিচয়পত্র দিয়ে একটি সীম কার্ড নিয়েছিল। পরে ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে নারায়নগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু নারাগঞ্জে ওই নম্বরটি একজন নারী ব্যবহার করেন। তিনি আরও জানান, এক সময় ওই নারীর অধীনে ফাইটন ম্যানেজারের চাকরি করতো। পরে তার ব্যবহৃত সীম কার্ডটি রেখে কর্মচারীদের কয়েক মাসের বেতন নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এরপর ওই নারীকে দিয়ে নতুন করে ফাঁদ তৈরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। এক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য সিএনজি থেকে গাড়ি এবং গাড়ি থেকে সিএনজি ব্যবহার করতে হয়েছে। ফলে আসামিকে গ্রেফতারে অনেক বাধাঁ বিপত্তি পোহাতে হয়েছে।
এসআই ফরিদ আহমেদ টিনিউজকে আরও জানান, প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারকৃত ফাইটন স্বীকার করেছে সে নতুন বাংলাদেশ নামের একটি দল গঠন করেছে। বর্তমানে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনে রয়েছে। সারাদেশেই তার দলের কমিটি রয়েছে। হিরো আলম তার দলের প্রধান সদস্য। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম তার নতুন বাংলাদেশ দল থেকে নির্বাচন করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।