আওয়ামী লীগকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কোন নির্বাচনে যেতে দেয়া হবে না -কাদের সিদ্দিকী
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আমার প্রার্থীতা বাতিল করতে অবৈধভাবে কোর্টে আপিল করেছিল। আইনগত ভাবে তারা এই আপিল করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের সাথে আইনগত ভাবে মোকাবেলা করার জন্য যদি আমার জাতিসংঘেও যেতে হয় তাহলে আমি যেতে প্রস্তুত আছি। আওয়ামী লীগ সরকারকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কোন নির্বাচনে যেতে দেয়া হবে না। আজ মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন কমিশন যা শুরু করেছে তাতে মনে হয় তারা একতরফা, একটি দলের পক্ষে কাজ করছে। এজন্য স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন করার দাবি জানান তিনি। জনগণ চাইলেও ইলেকশন কমিশন(ইসি) আমাকে ঠেকাতে চায়। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কুলাঙ্গাররা এ প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবিত করতে সচেষ্ট। তারাই সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে নির্বাচন করার পক্ষে রায় দেয়ায় টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে। সরকারও একটি ভাল নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ পেয়েছে। ইলেকশন কমিশনের(ইসি) এতে গাত্র দাহ হচ্ছে। তারা উপ-নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অতি উৎসাহী, অন্তত তাদের কর্মকান্ডে সেটাই প্রমাণিত হয়।
আমি এমপি হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। জনগণের ভোটাধিকার অর্জনের জন্য রাজনীতি করি। মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু বর্তমানে দেশে আইনের শাসন না চলে জালিমের শাসন চলছে। দেশের আদালতের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। তাই ন্যায় ও সত্যের জয় হবেই। আমি যদি ঋণ খেলাপী হই, তাহলে আওয়ামী লীগের দুই/তিনশ’ এমপি ঋণ খেলাপী রয়েছে। তাদের আগে বিচার হওয়া উচিত। আমি যদি যুদ্ধ না করতাম তাহলে অনেকেই চৌকিদার হওয়ারও সুযোগ পেতনা, আর এখন বড় বড় পদাসীন হয়ে অতীত ভুলে গেছে।
বঙ্গবীর বলেন, টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থী ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো উল্লেখযোগ্য কোন প্রার্থী নাই। কালিহাতীর মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ‘গামছা মার্কা’কে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। গামছার পক্ষে গণজোয়ার দেখে সরকার দলীয় প্রার্থীর ‘আগাম’ আশায় গুড়েবালি হয়েছে, সেজন্য ইসিকে দিয়ে নানা অপকৌশল করছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এলেঙ্গা ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিক, জেলা কমিটির সভাপতি এএইচএম আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, হাসমত আলী নেতা, হাবিবুন নবী খান সোহেল, লুৎফর রহমান, আব্দুল হাই খান নিয়ন প্রমুখ।