স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে বাছিরুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাসের হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো একজনকে মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম শায়ন মিয়া (৩২)। তিনি সদর উপজেলার সালিনা গ্রামের আমানত আলীর ছেলে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় টিনিউজকে জানান, শায়ন মিয়া অনেকদিন ধরে পলাতক ছিল। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সে বাড়ি ফিরে আসে। গোপন সূত্রে এ খবর পাওয়ার পর বিকেলে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় এর আগে গ্রেফতার হওয়া রসুলপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৩২) এবং পার্শ্ববর্তী শালিনা গ্রামের ফরহাদ (৩৩) এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত (১৩ মে) আদালতে জবানবন্দি দেয়। সেখানে এই হত্যাকান্ডে শায়নের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এছাড়াও এ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহত শিক্ষক অনিল কুমার দাসের বৈমাত্রেয় ভাই স্বপন কুমার দাস (৪৫) এবং খোকন ভূইয়া (৪৮) ও মঞ্জুরুল ইসলাম মিঞ্জুকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া টিনিউজকে জানান, শায়নকে বুধবার (১ আগস্ট) আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের (২৭ জুলাই) রসুলপুর বাছিরুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাসের মৃতদেহ তাদের রসুলপুর গ্রামের বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর অনিল দাসের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইলের রসুলপুরে জোড়া হত্যার আরেক আসামী গ্রেফতার

মন্তব্য করুন